
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন। অন্তত তিন মাস আগে ঢাকায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল কাহের শামীম। তিনি বলেন, ‘এটা তো অন্তত তিন মাস আগের কথা। উনি মারা গেছেন ঢাকায়। পারিবারিকভাবে এটা জানানো হয়নি।’
হারিছ চৌধুরীকে ঢাকাতেই দাফন করা হয় বলে জানান কাহের। তবে কোথায় দাফন করা হয় তা তিনি বলতে পারেননি।
দলীয় স্থানীয় সূত্র জানায়, হারিছ চৌধুরী লেবাস পাল্টে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। মৃত্যুর সময় তার কন্যা লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন।
হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি চুপ রয়েছে। সাধারণত দলের নেতাদের মৃত্যুতে শোক জানানো হলেও তার ঘটনায় এ ধরনের কোনও বিবৃতি বা বক্তব্য আসেনি।
হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশিক চৌধুরী তার ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
যদিও হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু ও দাফন নিয়ে নানা ধরনের রহস্য ছড়িয়ে পড়েছে। সিলেট বিএনপির কেউ-কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তার মৃত্যু ও দাফন হয়েছে লন্ডনে। যদিও এ ব্যাপারে স্বনামে কমেন্ট করতে চাননি কেউ। বিএনপিনেতা কয়েস লোদী জানান, তিনি শুনেছেন লন্ডনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হারিছ চৌধুরী। যদিও বিএনপির কেন্দ্রীয় কোনও নেতা এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন হারিছ চৌধুরী। প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি বিদেশে গা ঢাকা দিয়ে আছেন বলে জানা যায়।