দেশের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকার জন্য বড়দের মতই অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তাদের নিবন্ধন হবে জন্মসনদ দিয়ে।
সারাদেশে ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকায় প্রথম ১৭ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার। শিশুদের টিকার নিবন্ধন করতে হলে প্রথমে যেতে হবে সরকারের সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (surokkha.gov.bd)। এই অ্যাপের নিবন্ধন ফর্মের ঘরে জাতীয় পরিচপত্র, জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট (বাংলাদেশি/বিদেশি) অপশন রয়েছে। এখানে ‘জন্ম নিবন্ধন’ নির্বাচন করে শিশুর ১৭ সংখ্যার জন্ম সনদ নম্বর দিতে হবে। নম্বর দেওয়ার পর শিশুর সব তথ্য কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখা যাবে। এই অংশে বর্তমান ঠিকানার ঘরে গিয়ে বিভাগ, জেলা, উপজেলা/সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন/পৌরসভা/থানা এবং ওয়ার্ডের ঘর পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে মোবাইল নম্বর দিতে হবে। এরপর আসবে জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট দিয়ে নিবন্ধিত ৫-১৭ বছরের নাগরিকদের ‘নির্বাচিত টিকা কেন্দ্র’ ঘরটি। সব কেন্দ্র শিশুদের টিকার আওতায় না থাকায় নির্ধারিত কেন্দ্রগুলো থেকে একটি নির্বাচন করতে হবে। টিকা কেন্দ্র নির্ধারণের পর ফরমটি সেইভ করলে নিবন্ধনে যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) পাঠানো হবে। সেই ওটিপি কোড দিয়ে ‘স্ট্যাটাস যাচাই’ বাটনে ক্লিক করলে নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন হবে। নিবন্ধন শেষে টিকার প্রথম ডোজের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর জন্মসনদের নম্বর, জন্ম তারিখ দিয়ে লগ ইন করে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া ওটিপি কোড দিয়ে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। এসএমএসে যে তারিখ দেওয়া হবে, সেই তারিখে টিকা কার্ড ও জন্মসনদ নিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধনকারী শিশুরা টিকা নিতে পারবে।
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের টিকা। এরই মধ্যে ৩০ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেশে এসেছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর সব ঠিক থাকলে আগামী ২৫ অগাস্ট থেকে দেশের অন্যান্য এলাকায় শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। বৃহস্পতিবার ঢাকার আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে ১৭ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয় তারা সবাই দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ষাটোর্ধ্বদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে টিকা পাওয়ার নির্ধারিত বয়সসীমা কমিয়ে আনা হয় ১৮ বছরে। এরপর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা শুরু হয় গত বছর। পরে বয়স্কদের বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়।