
আবেদনে ‘অসত্য ও ভুল’ তথ্যের পাশাপাশি তথ্য ‘গোপন করায়’ দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে প্রয়াত আমির হামজাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
অবশ্য কী ধরনের ‘ভুল’ তথ্য দেওয়া বা ‘তথ্য গোপনের’ ঘটনা ঘটেছে, কারা এর সঙ্গে জড়িত, সেসব বিষয় স্পষ্ট করেননি তিনি।
গত ১৫ মার্চ ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। নাগরিক মহলে অচেনা আমির হামজার নাম সাহিত্য ক্যাটাগরিতে দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এমন কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে, যাতে ওই পুরস্কারের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়।
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আমির হামজাকে পুরস্কৃত করার বিষয়টি পর্যালোচনা করার কথা বলেছিলেন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ৯ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার দেওয়ার জন্য ‘স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’ অনুসরণ করার কথা, যা সর্বশেষ ২০১৯ সালে সংশোধন করা হয়েছিল।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ১২টি নির্ধারিত ক্ষেত্র থেকে মোট ১০টি পুরস্কার দেওয়ার কথা। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে পুরস্কারের সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারেন। আর পুরস্কারের ক্ষেত্র বাড়ানোরও সুযোগ আছে।
ওই ১২ ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, পল্লী উন্নয়ন, সমাজসেবা/জনসেবা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, জনপ্রশাসন এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণ।
চলতি বছরের প্রথম তালিকায় পাঁচ বিভাগে পুরস্কৃতের কথা জানানো হয়, যার মধ্যে ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ বিভাগে ছয়জনকে, চিকিৎসাবিদ্যায় দুইজনকে, স্থাপত্য ও সাহিত্যে একজন করে মনোনীত হন। আর একটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেওয়া হয় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বিভাগে।
শুক্রবার নতুন তালিকায় তাদের সবার নাম থাকলেও সাহিত্যে প্রয়াত আমির হামজার নামটি শুধু বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই ক্যাটাগরিতে অন্য কারও নাম সেখানে দেওয়া হয়নি।