"সংবাদে সংখ্যা – ডেটা সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি" শীর্ষক একটি বাংলা অনলাইন কর্মশালা আয়োজন করেছে জিআইজেএন। ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ডেটা সাংবাদিকতা নিয়ে নানান বিষয় আলোচনা করা হয়। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন মিয়ামি হেরাল্ডের অনুসন্ধানী সাংবাদিক শীর্ষ দাশগুপ্ত। অর্থবাণিজ্য সংক্রান্ত অপরাধ থেকে শুরু করে ফ্লোরিডার কারাগার ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় নিয়ে তাঁর করা প্রতিবেদনগুলো পুরস্কার জিতেছে এবং স্বীকৃতি পেয়েছে ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার্স অ্যান্ড এডিটর্স, ওভারসিজ প্রেস ক্লাব, সোসাইটি ফর অ্যাডভান্সিং বিজনেস এডিটিং অ্যান্ড রাইটিং, সোসাইটি অব প্রোফেশনাল জার্নালিস্টস ও অন্যান্যদের কাছে থেকে। কর্মশালার সঞ্চালনা করেন জিআইজেএন বাংলা সম্পাদক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী।
সাংবাদিক শীর্ষ দাশগুপ্ত জানান, 'ডেটার মাধ্যমে নানান সংবাদের প্রেক্ষিত বহুমাত্রিক উপায়ে পাঠকের কাছে পৌছে দেয়া যায়। বিভিন্ন অনুসন্ধানভিত্তিক বিষয়কে দারুণ উপায়ে উপস্থাপন করা যায়।' কর্মশালায় বিভিন্ন ডেটা নির্ভর টুলসের ব্যবহার ও প্রয়োগ সম্পর্কে হাতে কলমে চর্চার সুযোগ করে দেন তিনি। জিআইজেএন বাংলা সম্পাদক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী জানান, তরুণ সাংবাদিকেরা ডেটা সাংবাদিকতায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে। প্রায় ৪০০ জন সাংবাদিক এই কর্মশালার জন্য নিবন্ধন করেন। ভবিষ্যতে এমন কর্মশালা আরও আয়োজন করা হবে।
উল্লখ্যে, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে আর্থিক দুর্নীতি পর্যন্ত; সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বড় সব প্রতিবেদনের ভিত্তি ছিল ডেটা সাংবাদিকতা। কিন্তু বিশ্বের অনেক অংশে যেভাবে ডেটা সাংবাদিকতার প্রসার ঘটেছে— বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে তেমনটি দেখা যায়নি। কিছু নিউজরুম এ নিয়ে পরীক্ষামূলক কাজের চেষ্টা করলেও সাংবাদিকতার এই ধারাটি সার্বিকভাবে এখনো অনালোচিতই থেকে গেছে। সেই ঘাটতি পূরণে ডেটা সাংবাদিকতা নিয়ে বাংলা ভাষায় এই অনলাইন কর্মশালা আয়োজন করে জিআইজেএন। এটি মূলত তাদের জন্য যারা ডেটা সাংবাদিকতায় আগ্রহী কিন্তু এখনো তেমন চর্চা করা হয়ে ওঠেনি। অংশগ্রহণকারীরা এখান থেকে ডেটা সাংবাদিকতার মৌলিক ধারণা পান। সাংবাদিকেরা কীভাবে তাদের প্রতিবেদনে সংখ্যার ব্যবহার করেন? ডেটা সাংবাদিক হতে গেলে কী ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন হয়? -ওয়েবিনারে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
